ক্ষণিকা

আমাদের বাসায় ভাল্লুক এসেছিলো

আমাদের বাসায় ভাল্লুক এসেছিলো

ঘটনাটি ঘটলো দিনের বেলায়।

দুপুরের ফকফকা রোদ। আমি বসে আছি - বাসার পেছনের উঠোনে। রোদ পোহানোর চেষ্টা করছি। সুবিধা করতে পারছি না। আমেরিকার রোদ নারীর মতো রহস্যময়- দুর্লভ এবং কড়া। সব সময় রোদ উঠে না বটে, কিন্তু যখন উঠে তখন ব্রহ্মতালু ভেদ করে একদম মাথার ভিতরে সেধিয়ে যায়।

তো রোদ পোহাচ্ছি। খানিকটা ঝিমুনির মতোও এসেছে। এমন সময় উঠোনের বেড়ায় মচ মচ শব্দ। তাকিয়ে দেখি, একটি কালোমতো জন্তু বেড়া ভেঙ্গে উঠোনের মধ্যে ঢুকলো। কী ভয়ংকর দেখতে। এই রকম ভয়ংকর দর্শনপ্রাণী আমি কোথায় যেন দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারলাম না। হঠাৎ খেয়াল হলো, এই রকম বিশ্রি প্রাণীর মুখ আমি প্রতিদিনই সকালে দেখি, বাথরুমের আয়নায়, দাঁত মাজার সময়। 

পুরো দৃশ্যটা দেখে আমার শরীর হিম হয়ে গেলো। খানিকক্ষণের জন্য মনে হলো, আমার বোধহয় প্যারালাইজড হয়েছে। চিৎকার করার চেষ্টা করলাম। গলা দিয়ে কোনো স্বর বেরুচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর এই জড়তা কাটলো। গলায় বুলন্দ আওয়াজ এলো।

আমার বিকট চিৎকার শুনে বাসার সবাই ছুটে এলো। আমি কোনক্রমে মিতুকে বললাম, ভাল্লুক, বাসায় ভাল্লুক এসেছে।

এই শিহরণ জাগানিয়া সংবাদ শুনে মিতু বললো, তুমি কী খাইছো? কতটুকু খাইছো?

জ্ঞানী গুণী লোকদের জীবনে একটা কমন ট্র্যাজেডি আছে। জগতের সকল লোকেরা তাদের কথা বিশ্বাস করলেও, তাদের স্ত্রীরা তাদের পাত্তা দেন না। আমার স্ত্রীও তার ব্যতিক্রম নন। স্বয়ং সক্রেটিসকে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এই মহান মনীষীকে দুনিয়ার সব লোক মান্য করতো, কেবল তাঁর স্ত্রী বাদে। সক্রেটিসের কথা -সময়মতো-মনে পড়ায়, আমার মেজাজ ঠান্ডা হলো। আমি মিতুকে বললাম, গরীবের কথা বাসি হলে ফলে। আর আমার মতো জ্ঞানী মানুষের কথা টাটকাই ফলবে। ওয়েট এন্ড সি।

পরদিন দুপুরবেলায় পেছনের উঠোনে বসে মিতু ইয়োগা করছে। আমি গিয়ে বললাম, ঘরে বসে ইয়োগা করো। এলাকায় একটি লাফাঙ্গা ভাল্লুক ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে যদি তোমাকে আক্রমণ করে খেয়ে ফেলে, আমার কী হবে? আমার আর কে আছে বলো?

মিতু ঝাড়ি মেরে আমাকে তাড়িয়ে দিলো। বললো, তুমি সারাদিন বিয়ার খাও, ভাল্লুক তো দেখবেই।

কিছুক্ষণ পর পিছনের উঠোন থেকে বিকট চিৎকারের শব্দ শোনা গেলো।

 

দুইদিনের মধ্যে বাসায় চরম আতকং ছড়িয়ে পড়লো। ইতিমধ্যে আমি ভাল্লুকটিকে দ্বিতীয়বারের মতো দেখেছি। এবার তাকে কিছুটা হিংস্র মনে হলো। আগের মতো ভয়ডর নেই। আমাকে দেখলেই তেড়ে আসে।

আমি ছাড়া বাসার সকলে দুই একবার করে প্রাণীটিকে দেখে ফেলেছে। কেউ বলে এটা ভাল্লুক, কেন বলে বন বিড়াল, আমার ছোট কন্যার ধারণা, এটি কালো বাঘ। কিন্তু আমি নিশ্চিত এটি ভাল্লুক। বলা ভালো, শিশু ভাল্লুক। সাইজে ছোট।

ভয়ের চোটে আমরা ঘরের ভেতরে দরজা আটকে বসে থাকি। বাইরে বের হওয়ার আগে লাঠি হাতে বের হই। পিছনের উঠোন ছিলো আমার সিগারেট খাওয়ার জায়গা। এই দামাল শিশু ভাল্লুকের ভয়ে আমার সিগারেট বন্ধ হয়ে গেলো। 

আমার বাসার এই উঠোনে প্রায় প্রতিদিনই আড্ডা বসতো। ভাল্লুকের কথা প্রচারিত হবার পর, আমার সব সাহসী বন্ধুরা বাসায় আসা বন্ধ করে দিলো। করোনা তাদেরকে দমাতে পারেনি। এবার সত্যিকার অর্থেই লক ডাউন সিচুয়েশন তৈরি হলো। এক পর্যায়ে মিতু অতিষ্ট হয়ে ঘোষণা করলো, যা আছে কপালে, ভাল্লুকটা যদি আমার চোখের সামনে আসে, লাথি মেরে তাকে শেষ করে দেবো।

মিতু এক কথার মানুষ। এই কান্ডটা সে সত্যি সত্যি করলো। সারাদিন ভাল্লুকের কথা সে ভাবে। কাজেই রাত্রে ঘুমিয়ে সে ভাল্লুককে স্বপ্নে দেখলো। তারপর ঘুমের ঘোরে আমাকেই ভাল্লুক ভেবে লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দিলো। ( আমার দৃঢ় বিশ্বাস, পুরো ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ মিতু অন্য উপায়ে প্রকাশ করেছে। আমি রাগি নি। আমার গুরু সক্রেটিসের কথা ভেবে শান্ত থেকেছি। )

আমার সকল শান্তি তিরোহিত হলো। ঠিক করলাম, বন্দুক কিনবো। ভাল্লুক দেখামাত্র গুলি করবো।

এই দেশে বন্দুক কেনা কোনো ঘটনা না। দোকানে চানাচুরের থাকের পাশেই বন্দুক সাজানো আছে। কিনে আনলেই হলো।

আমার এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক এবং বন্যপ্রাণী হিতৈষী মোস্তফা তানিম আমাকে ভয় দেখালেন। এই দেশে পশু অধিকার অত্যন্ত শক্ত। কিছুদিন আগে, এক লোক পুলিশে ফোন করেছে। একটি অজগর ঘরে ঢুকে সেই লোকটিকে পেঁচিয়ে ধরেছে। সেই অবস্থাতেই লোকটি পুলিশকে ফোন দিয়েছে।

ফোন পেয়ে পুলিশ বলেছে, আমরা আসছি। দেখি কী করা যায়। তুমি বেশি নাড়াচাড়া কোরো না। তাহলে অজগরটি কষ্ট পাবে।

আরেক বাবুর্চি, সে থাকে ওয়াশিংটন ডিসিতে। তার রান্না ঘরে ইঁদুরের উৎপাত। একদিন সে লাঠি হাতে একটি ধেড়ে ইঁদুরকে ধাওয়া করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লোকটিতে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো, নিরীহ ইঁদুরের শান্তি বিনষ্ট করার অপরাধে। তাকে বলা হয়েছে, সত্যি করে বলো তো, তুমি এখন পর্যন্ত কয়টি ইঁদুর  -লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছো?

লোকটি ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলেছে, সে কোনো ইঁদুর মারে নি। কেবল ভয় দেখানোর জন্য ধাওয়া করেছে।

পুলিশ তার কথা বিশ্বাস করে নি। । সেই ধেঁড়ে ইদুঁরকে পুলিশ খুঁজছে। যদি সেই ইদুঁরের গায়ে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া না যায়, তাহলে লোকটির ''অল্প'' শাস্তি হবে।

অতি দুভার্গ্যজনক কারণে সেই ধেঁড়ে ইঁদুরটির টিকিটিও দেখা যাচ্ছে না। এদিকে লোকটি জেলে পঁচছে।

তানিম ভাইয়ের মুখে এই দুটো ঘটনা শুনে আমি বন্দুক কেনার সিদ্ধান্ত থেকে টুপ করে সরে আসলাম।

ইতিমধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটলো। মিতু সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখে, এই তথাকথিত ভাল্লুকটি উঠোনে বসে রোদ পোহাচ্ছে। মিতু অসমসাহসিকতায় সেই ভাল্লুকের ভিডিও করে ফেললো, জানালার কাঁচের এ পাশ থেকে।

এই ভয়ংকর প্রাণীর প্রথম ভিডিও

 

এই ভিডিও দেখার পর আমরা সকলেই সিদ্ধান্ত নিলাম, ব্যাপারটি আর হাসি ঠাট্টার পর্যায়ে নেই। এখনই এই ঘটনার একটা বিহিত করা না গেলে কেলেংকারি হয়ে যাবে। আমরা ভিডিওটি পশু ক্লেশ নিবারণী সংস্থার কাছে পাঠালাম। তারা ভিডিও দেখে বললো, এই প্রাণী তারা ধরতে পারবে এবং নিরাপদে বনে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসবে। যেহেতু আমেরিকা হচ্ছে, নো ফ্রি লাঞ্চের কান্ট্রি। কাজেই এজন্য তাদের সামান্য ফি দিতে। সেই ফি -এর অংক দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম।

যে পরিমাণ টাকা তারা দাবী করছে, ওই টাকা দিতে হলে, বাড়িঘর, হাড়ি পাতিল বেঁচে বনে গিয়েই আশ্রয় নিতে হবে, ওই বাঘ ভাল্লুকের সাথে।

শেষমেষ বাড়িওয়ালার সাথে পরামর্শ করা হলো। বাড়িওয়ালা সিদ্ধান্ত নিলো, আমরা নিজেরাই একটা খাঁচা কিনে, ঘাস লতা পাতা দিয়ে একটা ফাঁদ পাতবো। যাতে সেই ফাঁদে ঢুকে ভাল্লুক বাবাজীবন আটকা পড়েন। তারপর, তার একদিন- কী আমাদের একদিন।

এই ভিডিওটি আমি পাঠালাম, অস্ট্রেলিয়া নিবাসী নারীবাদী লেখক ও চিন্তক, সুগায়িকা, নতুন কুড়ি চ্যাম্পিয়ান শিল্পী ফারিয়া লোবার কাছে। সে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে, ওখানে এ ধরণের প্রাণীর উৎপাত আরও বেশি। সে নিশ্চয়ই আমাকে কোনো সুপরামর্শ দিতে পারবে।

কীসের কী। এই ভিডিও দেখে লোবার স্নেহভরা মনে মায়ার ফল্গুধারা বইতে লাগলো। সে আমাকে কড়া মেসেজ পাঠালো, খবরদার, এই প্রাণীর যেন কোনো ক্ষতি না হয়। তাহলে আপনাকে আমি খুন করে ফেলবো। ও থাকুক ওর মতো। খবরদার ওকে খাঁচায় পুরবেন না।

আমি অসহায় গলায় বললাম, এই বদমাইশ প্রাণী আমার বাগানের সকল শাক সবজি ফলমুল খেয়ে ফেলেছে। এমনকি কাঁচা মরিচের গোটা বাগান সাবার করে দিয়েছে।

আমার অভিযোগ শুনে লোবা বললো, আপনিও তো ফলমূল শাক সবজি খান, কেউ কি আপনাকে খাঁচায় পুরেছে?

এরপর লোবার সাথে আমার নিন্মলিখিত কথপোকথন হলো:

- লোবা, আজ যদি আমি ভাল্লুককে আশ্রয় দিই, কাল এর বন্ধুবান্ধবরাও আমার বাসায় চলে আসবে।
- আসুক, মজাই তো হবে।
- মজা হবে মানে? আজ ভাল্লুক আসবে। কাল আসবে সাপ। পরদিন বান্দর। তারপর কুমীর, বাঘ, সিংহ। দুইদিন পর দেখবো, বাসার গাছে জাঙ্গিয়া পরে টারজান দোল খাচ্ছে।
- ভালোই হবে। টারজানের সাথে দোস্তি করে আপনি মুগলী হয়ে যাবেন। আপনাকে এখন থেকে আমি মুগলি নামে ডাকবো।

আমাকে মুগলী ডাকার অপরাধে লোবাকে আমি ব্লক করলাম।

অবশেষে একটি খাঁচা কেনা হলো। ।

 

এই সেই খাবারসমৃদ্ধ ফাঁদ

 

 

গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম, এই ধরণের প্রাণীরা কী খেতে পছন্দ করে। তার তালিকা নিন্মরূপ:

১. সবুজ শাক সবজী। যেমন, লেটুস পাতা, বরবটি, সিম, ছোট এবং অগার্নিক মিষ্টি কুমড়া। 
২. এভোকাড্রো, তরমুজ
৩. গাজর, টমেটো, শসা
৪. পিনাট বাটার।

এগুলো কিনতে একগুচ্ছ টাকা বের হয়ে গেলো। আমি এক গ্লাস কোক দিতে চেয়েছিলাম। বাড়িওয়ালা রাজী হলো না। যাই হোক, এইসব লোভনীয় খাবার, খাঁচায় পুরে -তার উপর গাছের পাতা দিয়ে সুন্দর করে ফাঁদ সাজানো হলো। এক সুন্দর বিকেলে সেই ফাঁদটি আমরা পাতলাম।

পরদিন মিতুর বিকট চিৎকারে ঘুম ভাঙলো। খাঁচার ভেতর একটি প্রাণী আটকা পড়েছে। তবে প্রাণীটি সেই রহস্যময় ভাল্লুক নয়। অন্য রকমের। ইন্টারেনেটে সার্চ দিয়েও এই প্রাণীর কোনো নাম পেলাম না।

যে প্রাণীটি প্রথম দিনই ধরা পড়লো 

 

আমাদের মন খারাপ হলো। আমরা তো এই প্রাণী চাইনি।  যাই হোক, খাঁচাসহ এই প্রাণীকে গাড়িতে তোলা হলো।  তারপর পেট্রল পুড়িয়ে দূরের এক গহীন বনে এই ব্যাটাকে (অথবা বেটিকে) ছেড়ে দিলাম।

তারপর নতুন করে উপরেউল্লেখিত খাবারসমূহ কিনে খাঁচায় ঢুকানো হলো। নতুন করে ফাঁদ পাতা হলো। পরদিন ধরা পড়লো এক বন বিড়াল। তারপরদিন একটা বিশালাকৃতির কাঠবিড়ালি। তারপর দিন একটি রেকুন।

আপাতত এই চলছে।

প্রতিদিন সকালে উঠে একটি নতুন প্রাণী আবিষ্কার করি। খাঁচায় বন্দী। তারপর খাঁচাসহ তাকে গাড়িতে নিয়ে ভ্রমণে বের হই। চলে যাই, সদূর কোনো বনে। তারপর তাকে প্যারোলে মুক্তি দিই। 

বাসায় ফেরার পথে নতুন করে খাবার কিনি। আবারও ফাঁদ পাতি। কিন্তু সেই ভাল্লুকটি আর ধরা পড়ছে না। কী যে বিপদে আছি।

সাধে কী রবীন্দ্রনাথ বলেছেন --

সে-যে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায়, যায় না তারে বাঁধা।
সে-যে নাগাল পেলে পালায় ঠেলে, লাগায় চোখে ধাঁদা।
আমি ছুটব পিছে মিছে মিছে পাই বা নাহি পাই--
আামি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই॥

 

আমার এবং মিতুর ব্যাংক একাউন্ট প্রায় খালি। আপাতত ক্রেডিট কার্ডের উপর চলছি।

আমাদের আতংক আরও বেড়েছে। কোন সে প্রাণী? কেন সে এসেছিলো? এখন হঠাৎ করে কোথায় বা সে নিখোঁজ হলো।

নানান মানুষ নানান রকম মতামত দিয়েছে।

একজন বললো, এইসব প্রাণী খুব বুদ্ধিমান হয়। এদের আইকিউ নাকি সাংঘাতিক। আমাদের কুমতলব সে ধরে ফেলেছে। সে তক্কে তক্কে দূর থেকে আমাদের দিকে খেয়াল রাখছে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘাড় ঘটকাবে।

কারো কারো মতে, এটা জিন। খোলা চুলে সন্ধ্যার পর মোটেও উঠোনে যাওয়া ঠিক না। আগে বাইরে গেলে মাস্ক পড়তাম, এখন মাথায় ক্যাপ পরি।

আরেকজন বললো, এটা অশরীরী আত্মা। এই ধরণের আত্মারা কুমারী পুরুষ বা কুমারী নারী খোঁজে। ( এ কথার শোনার পর থেকে তানিম ভাই আমাদের বাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।)

আগে আমরা রাতের বেলায় উঠোনে যেতাম না। এখন দিনের বেলায়ও যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

মাঝে মাঝে মাঝরাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিছনের উঠোন থেকে হুটপাট শব্দ শুনি। সাবধানে বাতি জ্বালিয়ে দেখি, গাছের পাতা কাঁপছে, খাঁচার ভেতর শুয়ে আছে অন্য এক অচেনা প্রাণী।

যে প্রাণীটি ধরা পড়ার কথা, সে প্রাণীটি ধরা পড়েনি।